শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।গতকাল রোবাবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত উন্নতি হয়নি।সরকারী হিসেবেই ১১ হাজার পরিবারের অন্তত অর্ধ লক্ষ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পোড়ার দোকান ও শিমুলতলীতে দুটি কজওয়েতে ৭ ফুট উঁচু হয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় শেরপুরের সাথে যমুনা সারকারখানাসহ উত্তরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে গত ৫ দিন যাবত।
এছাড়াও বিভিন্ন কাচা-পাকা সড়কে পানি উঠায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। পাটের আবাদ ও আমন ধানের বীজতলা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে শতশত একর সবজি ক্ষেত। চরপক্ষীমারীর কুলুরচর ব্যাপারী পাড়া ও নতুন চরের কয়েকশ পরিবার জামালপুর শহর রক্ষা বাঁধে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্ত মানুষরা ত্রাণের আবেদন করেছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় , শেরপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানির বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২ সে. মি. উপর দিয়ে বইছে। এই অঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আরও অবনতি হবে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ৫০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এই ভয়াবহ বন্যার স্থায়িত্ব দুই সপ্তাহ স্থায়ী হবে বলে ধারণা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত পাঁচ দিনে উপজেলার কামারেরচর, চরপক্ষমারী ও বলাইয়েরচর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চরমোছারিয়া ও চরশেরপুর ইউনিয়নের গ্রামেও পানি ঢুকেছে। সদর উপজেলার বিশাল চরাঞ্চল এখন বন্যা কবলিত।
শেরপুর-জামালপুর জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক আবু সাঈদ জানিয়েছেন, জেলার পার্শ্ববর্তী যমুনা নদীর পানি আশংকা জনক হারে বাড়ছে। আগামীকাল থেকে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হতে পারে।
Leave a Reply