বন্যায় যাতায়াত অবস্থা এবং গর্ভবতী মা এবং শিশুদের নিয়ে যাতায়াত অনেকটা বিপদজনক।গর্ভবতী মা, শিশু ও বয়স্ক মানুষদের অনেক সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে । তাই বন্যার্তদের পাশে শুরু থেকেই শেরপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলিতে হুইপ কন্যা, শেরপুর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শারমিন রহমান অমি।
ডা.অমি নৌকা ভাড়া করে চরাঞ্চলের বানবাসী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গর্ভবতী মা, শিশু ও বয়স্ক মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা, ঔষধ প্রদান করে এবং তার বেতনের টাকা দিয়ে চিড়া,মুড়ি ও গুড় বিতরণ করে আবারও এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের বন্যা দীর্ঘমেয়াদী এবং করোনা ভাইরাসে শেরপুর তথা সারা দেশেই একই অবস্থা বিরাজ করছে । সরকারী ত্রান , রেশন , ভিজিএফ এবং ঔষধ পত্র দিলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম ।
অন্যান্য সময় দেখা গেছে বিভিন্ন এনজিও , বেসরকারী প্রতিষ্ঠান , বিভিন্ন সংগঠন বন্যার্তদের সাহায্য জন্য এগিয়ে আসলেও বর্তমানে অনেকাটায় এখন ভাটা পড়েছে । দীর্ঘমেয়াদী বন্যায় সাধারণ মানুষ এবং কৃষকদের অনেক সমস্যা বাড়ছে ।
ডাঃ শারমিন রহমান অমির কর্মকান্ড মনে করিয়ে দেয় তার বাবা মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক এম.পির কথা।যিনি সেই শেরপুরের ৮৮ সালের ভয়াল বন্যায় নিজের জীবন বাজি রেখে বন্যয় কবলিত চরাঞ্চলের মানুষের জানমাল রক্ষা করার জন্য নৌকা ভাড়া করে বন্যার্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন । গবাদি পশুর খাবার হিসাবে খড়কুটো জোগাড় করে দিয়ে ছিলেন। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে সাহায্য উত্তোলণ করে মানুষের জন্য খুলেছিলেন ভীমগঞ্জ বাজারে লংগর খানা। এখনও মানুষ সেটা ভুলতে পারিনি ।তিনি তখন এম.পি ছিলেন না, ছিলেন না প্রচুর সম্পদের মালিক। ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply