“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকীতে একশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো অঙ্কন করার লক্ষে সর্বশেষ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা অর্জন করেছিলেন সেই মহান স্মৃতি বিজরিত এলাকায় যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছি।”
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চিত্রকর বাদশা মিয়া (২৮)তাঁর ফেসবুক আইডিতে বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো অঙ্কন শেষ করে স্বপ্নের কথা লিখে যাচ্ছেন এভাবেই। নিজ উদ্যোগে তিনি ১০০ টি বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো এঁকে যাচ্ছেন। তাঁর স্বপ্ন, যে জমিনে লেগে আছে বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন,সহপাঠিদের নিয়ে খেলা করেছেন সারাক্ষণ সেই টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লোগোটি আঁকার মাধ্যমে কার্যক্রম সমাপ্ত করা।
১০ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো আঁকা শুরু করেন বাদশা মিয়া। এখন পর্যন্ত তিনি ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লোগো অঙ্কন করেছেন। তাঁর লক্ষ্য প্রথমে উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লোগো আঁকা শেষ করা। পরবর্তীতে জেলার বাকি উপজেলার বিদ্যালয় গুলোতেও লোগো অঙ্কন করা। সবশেষে স্বপ্নের সেই টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বাদশা মিয়ার বাড়ি নালিতাবাড়ী শহরের গড়কান্দা মহল্লায়। ছোটবেলা থেকেই জীবিকার সন্ধানে আর্টকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। রং আর তুলির ছোঁয়ায় ব্যানার, সাইনবোর্ড ইত্যাদি লিখে চলে তাঁর সংসার। তাঁর আর্ট সেন্টারের নাম ‘চিত্রকর বাদশা’। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি অসীম ভালোবাসা বাদশার। তাই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজ উদ্যোগে লোগো অঙ্কনের পরিকল্পনা করে কার্যক্রম শুরু করেন।
চিত্রকর বাদশা বলেন,সকলের অনুপ্রেরণা,দোয়া ও সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমার সাধ্যমতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর লোগো আঁকার উদ্যোগ নিয়েছি। ৪২টি প্রতিষ্ঠানে লোগো আঁকা শেষ হয়েছে। সবশেষে পিতা মুজিবের সেই মহান স্মৃতি বিজরিত টুঙ্গিপাড়ায় লোগো অঙ্কণ করে শেষ করতে চাই।
Leave a Reply