বন্যা পরবর্তি শেরপুরের খাল বিলে ব্যাপক হারে দেশী প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে।ধরা পড়ছে বন্যার কারণে পুকুর থেকে বের হয়ে যাওয়া অসংখ্য মাছ।এসব মাছে এখন বাজার সয়লাব। দামও যেকোন সময়ের চেয়ে কম।দাম কম থাকায় সকল শ্রেনীর মানুষ এখন এই দেশী মাছের স্বাধ নিতে পারছে।রাস্তাঘাটে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে মাছ বিক্রির ধুম।
গ্রামের বিভিন্ন পেশার মানুষ যাদের এখন তেমন কাজকর্ম নেই তাদের অনেকেই এখন মাছ ধরাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।সব দেশী মাছ কমবেশী পাওয়া গেলেও কৈ,মাগুর,সিং ,চাটা ,পুটি ও টাকি মাছ ব্যাপক হারে ধরা পড়ছে বলে জানা গেছে।২৩০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দেশী কৈ,বড় মাগুর সিং পাওয়া যাচ্ছে ৫শ থেকে ৬শ টাকায়,বড় পুটির দাম পড়ছে ২শ থেকে ৩শ টাকা,টাকি মাছের কেজি দেড়শ থেকে ১৮০টাকা।তবে এসব দাম তরতাজা মাছের ক্ষেত্রে।মাছ ওয়ালারা অর্ধেক দামে ছেড়ে দিচ্ছে মৃত মাছ।অনেকেই জানিয়েছে সরকারের মৎস বিভাগের দেশী মাছ রক্ষায় প্রকল্প হিসেবে মাছের কয়েকটি অভয় আশ্রম রয়েছে।
আবার ক”বছর হলো সরকার হারিয়ে যেতে বসেছে এমন দেশী মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে খালে বিলে।এসব অবমুক্ত করা পোনা ও অভয় আশ্রমের মা মাছের ছাড়া ডিম থেকেই এবার ব্যাপক হারে মাছ পাওয়া যাচ্ছে দাবী জেলা মৎস বিভাগের।মাছ ধরার সাথে জড়িত ফরফেস আলী জানিয়েছে খাল বিলে ব্যাপক হারে দেশী মাছ পাওয়া যাচ্ছে।সারাদিন বাপ ছেলে মিলে মাছ ধরে হাজার পনেরশ টাকার মাছ বিক্রি করতে পাচ্ছি।ফরফেস জানিয়েছে হারিয়ে যেতে বসেছে এমন দেশী মাছের পোনা ব্যাপক হারে ছাড়া উচিৎ।তবে কেউ পোনা মাছ ধরলে আইনগত ব্যবস্থা নিলে দেশী মাছ বাড়বে ও বড়বড় মাছ পাওয়া যাবে।
জেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল হক জানিয়েছেন শেরপুরে জেলায় দেশী মাছের ১০টি অভয় আশ্রম করা হয়েছে।বন্যার কারনে এসব আশ্রমের প্রচুর মা মাছের ডিম থেকে ফোটা পোনা মাছ খালবিলে ছড়িছে গেছে।দেশী মাছ যেন হারিয়ে না যায় তার জন্য আরও অভয় আশ্রম করা দরকার।অভয় আশ্রম বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।বরাদ্ধ পেলে এবারও আরও কিছু বিলুপÍ প্রায় দেশী মাছের পোনা ছাড়া হবে বলে মৎস কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
Leave a Reply