নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মানবিক শাখা থেকে একমাত্র টেলেন্টপুলে বুত্তি পেয়েছে জারিন নাফিসা স্মিতা। আর সাধারণ শাখা থেকে ৩৬ জন বৃত্তি পেয়েছে। গত ২৫ আগস্ট মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে মেধা তালিকার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আর ৩১ মে এসএসসির ফলা ফলে স্মিতা জিপিএ-৫ অর্জন করে।
স্মিতা তারগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করে। এইচএসসি তে স্মিতা নালিতাবাড়ী শহীদ আবদুর রশিদ মহিলা ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছে। বাবা জাহিদুল ইসলাম তারগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক। মা মাহবুবা শিরিন গৃহিনী। তিন বোনের মধ্যে সবার বড় স্মিতা। ছোট বোন জাহিন নাফিসা প্রভা সপ্তম শ্রেণীতে ও জাবিন নাফিসা প্রথম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে। স্মিতা এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করে বাংলার অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয়ে ভালো একটা বিষয়ে লেখাপড়া করার স্বপ্ন দেখেন। এর জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।
জানাগেছে,২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সাড়ে ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে সরকার। এদের মধ্যে ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। জিটুপি বা ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়া হবে।
মেধাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মাসিক ৬০০ টাকা ও বছরে এককালীন ৯০০ টাকা দেয়া হবে। আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩৫০ টাকা এবং বছরে এককালীন ৪৫০টাকা দেয়া হবে। বৃত্তির টাকা ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের বৃত্তি-মেধা বৃত্তি খাত থেকে নির্বাহ করা হবে। আগামী ২ বছর মেধাবৃত্তি সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা।
জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেয়া হবে। বোর্ডের আওতাধীন প্রতি উপজেলার দুইজন ছাত্র ও দুইজন ছাত্রীকে সাধারণ উপবৃত্তি দেয়া হবে। আর মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিটি থানাতে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রীকে এলাকা কোটা অনুসারে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে।
২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঢাকা বোর্ডের ৮৭৮ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৫ হাজার ৭০১ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। এছাড়া ময়মনসিং বোর্ডের ১৮২ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ৫৮৮ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, রাজশাহী বোর্ডের ৬৩৩ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৩ হাজার ২৫৭ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, কুমিল্লা বোর্ডের ২৪৯ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ২১৪ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, সিলেট বোর্ডের ১০৪ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ৩৪৭ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, বরিশাল বোর্ডের ১০৯ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, যশোর বোর্ডের ৩৩৩ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ৩৭৩ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, চট্টগ্রাম বোর্ডের ২১৯ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ৯২৬ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি এবং দিনাজপুর বোর্ডের ২৯৩ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ৬৯০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। এভাবেই বৃত্তি কোটা বণ্টন করে বোর্ডগুলোকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply