উৎসবমুখর পরিবেশে কেশবপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন শুধুমাত্র সাধারন সম্পাদক, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, গ্রন্থাগার ও নির্বাহী কমিটির ৫ সদস্য পদে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় বিনা ভোটে সভাপতি পদে আশরাফ-উজ-জামান খাঁন, শামসুর রহমান কোষাধ্যক্ষ, মশিয়ার রহমান দপ্তর সম্পাদক ও শেখ শাহিনুর ইসলাম ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতি সম্পাদক পদে আগেই নির্বাচিত হন।
সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে কেশবপুর প্রেসক্লাবের নিজস্ব কার্য্যালয়ে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৫৫ ভোটের মধ্যে ভোটারাধিকার প্রয়োগ হয় ৫১টি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন এই নির্বাচনে ২৪ ভোট পেয়ে জয়দেব চক্রবর্তি সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার এক মাত্র প্রতিদন্দ্বি মেতাহার হুসাইন ভোট পেয়েছেন ২১টি। সহ-সভাপতি পদে মোল্যা আব্দুস সাত্তার ৩১ ও আব্দুল হাই সিদ্দিকী ৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলহাজ্ব রুহুল কুদ্দুস পেয়েছেন ২৫ ভোট। যুগ্ম সধারন সম্পাদক পদে উৎপল দে ৩১ ও এম.আর মঈন ২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল মজিদ ১৮ ও আব্দুর রহমান ১৬ ভোট পেয়েছেন। গ্রন্থাগার পদে মতিয়ার রহমান ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি শাহিনুর রহমান পেয়েছেন ২১ ভোট। নির্বাহী কমিটির ৫ সদস্য পদে নুরুল ইসলাম ৪০, আব্দুল্যা আল ফুয়াদ ৩৩, কে.এম কবির হোসেন ২৯, আব্দুর রাজ্জাক ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আব্দুল করিম ও ইকতিয়ার হোসেন উভয় ২৫ ভোট পাওয়ায় ৫ম সদস্য পদের ফলাফল স্থগিত রয়েছে। একই পদে ২৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন রুহুল আমীন।
নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন আব্দুস সালাম, আব্দুল মোমিন ও সিদ্দিকুর রহমান। নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তায় কেশবপুর থানার ওসি (তদন্ত) ওহিদুজ্জামান ওহিদের নেতৃত্বে পুলিশের ১২ সদস্যের একটি টিম নিয়োজিত ছিল।।
Leave a Reply