কেশবপুরে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য পেয়েছেন শিক্ষিত যুবক ইমরান হোসেন। জানাগেছে, উপজেলার ঝিকরা গ্রামের সামাদ মোড়লের পুত্র বিবিএ ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ইমরান হোসেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ, সুষম সার ব্যাবহার ও বালাই ব্যাবস্থাপনার আওতায় এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের দিক নির্দেশনায় পরীক্ষামূলক ভাবে ২৬ শতক জমিতে ব্লাক বেবি জাতের তরমূজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। তার ক্ষেতের তরমূজের ফলন দেখে ঐ এলাকার অনেক যুবক তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন। যার ফলে কেশবপুর উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
শিক্ষিত যুবক ইমরান হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ৭ মাস পূর্বে তার কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে তার অলস সময় কাটানোর জন্য তিনি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের সিদ্ধান্ত নেন। তার আগ্রহে উপজেলা কৃষি বিভাগ এগিয়ে আসে। কৃষি বিভাগ তার ২৬ শতক জমির মধ্যে ১৫ শতক জমি প্লট প্রদর্শনীর মাধ্যমে কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ, সুষম সার ব্যবহার ও বালাই ব্যাবস্থাপনাে আওতায় ব্লাক বেবি জাতের তরমূজ চাষের পরিকল্পনা নেয়। ইমরান তার অবশিষ্ট ১১ শতক জমিতেও তরমুজ আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষেত পরিচর্যা করেন।
গ্রীষ্মের শুরুতে তিনি বীজ রোপন করেন। ফসলের নিয়োমিত পরিচর্চা করায় ৩ মাসের মধ্যে ক্ষেতে তরমূজ ধরতে শুরু করে। তার ক্ষেতে ফল আসা পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তরমুজ যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য তিনি নেট দিয়ে টোং তৈরি করেছেন। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে তিনি ফেরামোন ফাদ দিয়েছেন। তার ক্ষেতে ১ হাজারেরও বেশি তরমুজ ধরেছে বলে তিনি আশা করছেন। প্রতিটি তরমুজের ওজন এভারেজ ২ কেজি। অসময়ের তরমুজ হওয়ায় বাজারে দামও বেশি। বর্তমানে তরমুজের পাইকেরি দাম হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা। সে হিসাবে ২ হাজার কেজি তরমুজ বিক্রি হবে ৮০ হাজার টাকা। প্রায় ৫০ হাজার টাকা তার লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
এদিকে অসময়ের তরমুজ ক্ষেত ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূসরাত জাহান ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাদেব চন্দ্র সানা।।
Leave a Reply