মুজিববর্ষ উপলক্ষে শেরপুরের মনোমুগ্ধ পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি, সংস্কৃতি জীবনমান ও তাদের ঐতিহ্য নিয়ে সুজ্জিত একটি নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর হতে যাচ্ছে।এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কে নিয়েও পৃথক আরেকটি যাদুঘর করা হবে। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে জেলার নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব একথা বলেন।
সূত্র জানায়,সারা বছর প্রচুর পর্যটক গজনীতে বেড়াতে আসেন।গারো পাহাড়ের আশপাশে নয়টি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস রয়েছে এবং তাদের একটি সমৃদ্ধ কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রয়েছে। পর্যটকরা এসব জাতিগোষ্ঠীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে পারলে গজনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ হবে এবং পর্যটন বিকশিত হবে। তাই জেলা প্রশাসন এ যাদুঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
মতবিনিময় সভায় ডিডিএলজি (উপসচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওয়ালিউল হাসান, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাংবাদিক সঞ্জীব চন্দ বিল্টু, দেবাশীষ সাহা রায়, আদিবাসী নেতা প্রাঞ্জল এম সাংমা, কেয়া নকরেক, বন্দনা চাম্বুগং, যুগল কিশোর কোচ, চিন্তাহরণ হাজং, মনিন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস, মিন্টু বিশ্বাস, নবেস খকশি প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক করোনাকালে আদিবাসীদের নানা সমস্যা শুনেন।আদিবাসী নেতারা তাদের ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীনভাতা বিতরনে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্প ২ এর মাধ্যমে বিনামূল্যে ঘর বিতরণ নিয়েও নানা অভিযোগ করেন আদিবাসি নেতারা।হাতির জন্য একটি অভয়াশ্রম তৈরি এবং হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বিষয়ে আলোচনা হয় ওই সভায়।
Leave a Reply