শেরপুরের শ্রীবরদীর কর্ণঝোড়া বর্ডার রোড থেকে হারিয়াকোনা রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী ৪ গ্রামের শতশত মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার সিঙ্গাবরুনা ইউনিয়নের কর্ণঝুড়া বর্ডার রোড হতে চান্দাপাড়া, কুমারগাতি,বাবেলাকোনা হয়ে হারিয়াকোনা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা। সংস্কার-সম্প্রসারন ও পাকাকরনের অভাবে রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কোন যানবাহন তো দূরের কথা এ পথে খালি শরীরে পায়ে হেটেও যাতায়াতে কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। এছাড়া চলতি বর্ষা মৌসুমে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে কর্ণঝুড়া নদীর বাধ সংলগ্ন রাস্তাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে।
স্থানীয়রা জানান, বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে প্রশাসনিক ভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এছাড়া এ পথে হারিয়াকোনা পর্যন্ত পৌছতে পথচারীদের পাড়ি দিতে হয় ছোট বড় ৪ খাল । এ পথে প্রতিদিন শতশত মানুষের যাতায়াত। একটু বৃষ্টি হলে দূর্ভোগের যেন শেষ নেই পথচারীদের। এ সীমান্ত এলাকায় গারো, হাজং, কোচ, বানাই, হিন্দু, মুসলিমসহ বিভিন্ন জাতীগোত্রের প্রায় ৪ হাজার লোকের বসবাস।
হারিয়াকোনা গ্রামের বিরেশ রিছিল, আলীসন চিরান, মিঠুন সাংমা, বাবেলাকোনা গ্রামের সজিনাথ চিরান, সতিশ মারাক, প্রফিশন মারাকসহ আরও অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, সব এলাকার উন্নয়ন হয় কিন্তু আমাদের এ আমাদের ৪ গ্রামের মানুষের ভাগ্যের কোন উন্নয়ন হয়না। তারা বলেন, নির্বাচনের সময় এলে আমাদের রাস্তা নির্মান করে দেয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে ভোট নেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর আমাদের খোজ খবর নেয় না।
তারা আরও বলেন, প্রতিদিন এ পথে স্কুল কলেজের কোমলমতি শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের যাতায়াত। শুষ্ক মৌসুমে যেমন তেমন বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের দূর্ভোগের সীমা থাকেনা। মাঝে মধ্যেই ঘটে দূর্ঘটনা। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও গবাদী পশু বাজারজাত করতে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের। জরুরী প্রয়োজনে কোন রোগী দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়না। সিঙ্গাবরুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মজনু বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। শ্রীবরদী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, রাস্তা সংস্কার বা পাকাকরনের বিষয়টি বড় কথা নয়। নদী ভাঙন রোধে ও ব্রীজ নির্মানের বিষয়টি বিবেচনায় এনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। সাড়া পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply