আগামী ডিসেম্বর দিকে অনষ্ঠিত হবে শেরপুরের চারটি পৌরসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে প্রচার প্রচারনা। প্রচারনার অংশ হিসেবে প্যানা ফেষ্টুন ও পোষ্টার বানানোর ধুম লেগেছে। ফলে প্যানা ফেষ্টুন ও পোষ্টার বানানোর বাজর হয়ে উঠছে সরগরম।এসব বানানোর জন্য জেলার অন্তত ১০ ডিজিটাল দোকানে রাত দিন চলছে কর্মযজ্ঞ।
চারটি পৌরসভার অন্তত অর্ধশত মেয়র ,দেড় শাতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যানার ফেষ্টুন ও পোষ্টার বানাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে দোকানীরা। এসব বানানোর প্রতিষ্ঠান শেরপুর নিউমার্কেটের রংতুলি কমাশিয়াল আর্টের ব্যবসায়ি মোমিনুল ইসলাম জানিয়েছে কদিনেই ৩শতাধিক ব্যানার ,৪শতাধিক ফেষ্টুন ও কয়েক হাজার পো®টারের কাজ তিনি করে ফেলেছেন। আরও অসংখ্য অর্ডার তার কাছে আছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে শেষ করা যাচ্ছে না। অন্যান্য দোকান গুলোতেও একই অবস্থা।
এই সুযোগে প্রচারনার এই সামগ্রি বানাতে আগের চেয়ে কিছু দামও বাড়িয়েছে ব্যবসায়িরা। প্রার্থীরা কেউ সরকার দলীয় ও কেউ বিরোধী দলীয় মনোনয়ন পেতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেতে সারা শহর জুরে রং বেরঙের বিশাল মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্যানা ফেষ্টুন পোষ্টার দিয়ে শহর ছেয়ে ফেলেছে। তবে এই প্রচারনায় এগিয়ে আছে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রার্থীরা। তার পরে বিএনপির অবস্থান।
গুটি কয়েক স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোষ্টার ছাড়া অন্য কোন দলের প্যানা ফেষ্টুন পোষ্টার নেই। আবার এক শ্রেণীর সমর্থক আছে যারা নিজের টাকা খরচ করে পছন্দের প্রার্থীর ছবির সাথে নিজের ছবি লাগিয়ে টাঙিয়ে দিচ্ছে। এসব তৈরির দোকান গুলোতে অগ্রিম দিয়েও সঠিক সময়ে প্রচারনার প্যানা ফেষ্টুন পোষ্টার পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়েছেন প্রার্থীরা। আবার এসব দৃষ্টি নন্দন প্যানা ফেষ্টুন ও পোষ্টার শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানোর জন্য বেশ কিছু লোকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। সব মিলিয়ে সরগরম এখন প্যানা ফেষ্টুন ও পোষ্টার বানানো ও লাগানোর ব্যবসা।
Leave a Reply