নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের হামলায় আহত সুজন মিয়া(৩০)চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন । পুলিশ তিনজনকে অাটক করে অাদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
নিহত মো. সুজন মিয়া (৩০) উপজেলার কেরেঙ্গাপাড়া গ্রামের আসকর আলীর সন্তান।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল জলিল প্রায় দুই বছর আগে শারীরিক প্রতিবন্ধী আবদুল হালিমকে ভাতার কার্ড দিতে চার হাজার টাকা নেন। এরপর কয়েক দফায় প্রতিবন্ধী ভাতা তোলেন হালিম। কিন্তু স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনোটিই না থাকায় হালিমের অনলাইন নিবন্ধনে জটিলতা হয়। এর ফলে তাঁর প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বন্ধ হয়ে যায়। গত ১০ নভেম্বর সুজন মিয়ার দোকানে বসেছিলেন ইউপি সদস্য আবদুল জলিল। এসময় সুজন টাকার বিনিময়ে প্রতিবন্ধীর কার্ড দেওয়া নিয়ে কথা বললে জলিল ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাইসহ সুজনের ওপর হামলা করেন। গুরুতর আহত সুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ঢাকায় নিতে বলেন। এরপর সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার সুজন বাড়িতে ফেরেন। পরের দিন তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার(২১ নভেম্বর) সন্ধায় তার মৃত্যু হয়।
১৪ নভেম্বর সুজনের ছোট ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আবদুল জলিলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর তিন জনকে অাটক করে অাদালতের মাধ্যমে কারাগারে অাছেন। হত্যার চেষ্টা মামলাটি এখন হত্যা মামলা রূপান্তরিত হয়েছে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন,তিনজনকে অাটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইউপি সদস্যসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত।
Leave a Reply