শেরপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ মোঃ ইদ্রিস মিয়া। জীবনের অনেক উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে আজ দেশের বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ি। চল্লিশ বছর আগে এই ব্যবসায়ি যখন বেকার ছিলেন তখন শেরপুরের বিড়ি ব্যবসায়ি আলেয়া বিড়ির মালিক জ্ঞানেন্দ্র মোহন দত্ত উরফে বেচু দত্তের কাছে বিড়ি তৈরি ও বিড়ির ব্যবসা রপ্ত করেন। ওই গুরুর হাত ধরেই শেরপুর তথা ময়মনসিংহ অঞ্চলে ইদ্রিস মিয়ার রসিদা বিড়ি বাজারে একক দাপটে চলে আসছে। আজ ইদ্রিস মিয়া বিড়ি ব্যবসাসহ নানান ব্যবসায় দেশের প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ি। সরকারকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দেন। হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। যার হাত ধরে এই উত্থান সেই বেচু দত্ত ৩০ বছর আগে ই্হ লোক ত্যাগ করলেও আজও ভুলেনি শিষ্য ইদ্রিস মিয়া। ৩০ বছর ধরে প্রতি বছর এক টানা নিজ বাসায় করে যাচ্ছেন গুরুর শ্রাদ্ধ শান্তি। প্রতি বছরের ন্যায় গতকাল ১৬ই ডিসেম্বর ইদ্রিস মিয়া তার নারায়নপুস্থ বাসায় গুরুর শ্রাদ্ধ শান্তির জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। এই মধ্যাহ্ন ভোজে দাওয়াত দেওয়া হয় গুরুর আত্মীয় স্বজন,প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়িদের। গুরু সনাতনী হওয়ায় সম্পূর্ণ সনাতনী ধারায় রান্নাবান্না করে একেবারে হিন্দুয়ানী রীতিতে চলে নিরামিষ বা সব্জি ভোজ। গুরুর কোন স্বজন অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়লে শিষ্য হিসেবে ইদ্রিস মিয়া পাশে দাড়ান। গুরুর প্রতি শিষ্যের এমন কৃতজ্ঞতা, শেরপুরের ব্যবসায়ি মহলে বেশ আলোচিত। গুরু শিষ্যের এই পরম্পরার বন্ধন সমাজে সম্প্রীতি সৌহার্দ্য শ্রদ্ধা ও প্রীতির বন্ধনকেই অটুট করে রাখবে বলে ধারনা বেচু দত্তের স্বজন অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়ার।
ইদ্রিস মিয়ার পুত্র বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ি গুলজার মোঃ ইয়াহিয়া জিহান জানিয়েছেন তার বাবা(ইদ্রিস মিয়ার অবর্তমানে তিনি (জিহান) এই শ্রাদ্ধ অব্যাহত রাখবেন।
ইদ্রিস মিয়া জানিয়েছেন গুরুর প্রতি এমন কৃতজ্ঞতা সকল শিষ্যর থাকা উচিত। বেচু দত্ত তাকে শিষ্য নয় সন্তানের মত সব শিখিয়েছেন। গুরুর প্রতি সামান্য এটুকু করে তিনি অত্যন্ত খুশি ।
Leave a Reply