নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের ৫৯ টি গণকবর সংরক্ষনের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব উপস্থিত থেকে গণকবর রক্ষায় ভিত্তি স্থাপন করেন এবং শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
স্বামী-স্বজন হারা বীর জায়াদের মাঝে উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র কম্বল এবং শাল ছাড়াও চাল, ডাল, তেল, লবন, সাবান ও মাস্ক প্রদান করেন তিনি।
দুপুরে সোহাগপুর বীরকন্যা পল্লীতে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মাহ্ফুজুল আলম মাসুম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।
অন্যান্যের মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরু, শহীদ পরিবারের সন্তান জালাল উদ্দিন, সাংবাদিক এমএ হাকাম হীরা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ তালুকদার মুকুল বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক নিজে বীর জায়াদের কাছে গিয়ে তাদের হাতে উপহার সামগ্রী তোলে দেন এবং নিজ হাতে মাস্ক পড়িয়ে দেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়ালিউল হাসান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাদেক আল সাফিন, এনডিসি মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, বীর জায়া, শহীদ পরিবারের সন্তানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে পাকহানাদারদের গণহত্যায় ১৮৭ জন গ্রামবাসী নিহত হয়। বিধবা হন ৬২ জন। বর্তমানে ২৫ জন বিধবা বেঁচে আছেন। হত্যাযজ্ঞের কারণে সোহাগপুর গ্রামটি পুরুষ শূন্য হয়ে যায়। এরপর থেকেই সোহাগপুর নামটির পরিবর্তে নাম রাখা হয় বিধবাপল্লী।
সে সময় পাকিস্থানি বাহিনীর বর্বরতার শিকার হন ১৪ জন নারী। বর্তমান সরকার ওই ১৪ জন নারীকে বিরাঙ্গনা নারী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply