শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সর্বত্র ফসলী জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। কোন কোন স্হানে জমির মালিকরা পুকুর খননের নামে আবাদী জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে ভাটা মালিকদের কাছে।
বেকু দ্বারা এসব মাটি খনন করে ট্রাক,মাহিন্দ্র ও ট্রাক্টর যোগে অবাধে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। ফলে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ কালভাট বিধ্বস্ত হয়ে কোন কোন স্হানে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে।
শুধু তাই নয়,ফসলি জমি কেটে অবাধে মাটি বিক্রি করায়। সর্বত্র পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখিন হয়ে পরেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রাকে করে মাটি পরিবহন করায় হাতিবান্দা ইউনিয়নের কামারপাড়া, মারুয়াপাড়া রাস্তার ২ টি কালভাট বিধ্বস্ত হয়ে এ পথে লোকচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হাতিবান্দা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দুলা জানান,তেতুলতলা , পাগলারমুখ, কামারপাড়াসহ তার ইউনিয়নের রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এ ছাড়া ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন, কাংশা, নলকুড়া,গৌরিপুর, ধানশাইল ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্হানে রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্ত হযেছে। ফসলী জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করায় জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পরেছে। শুধু তাই নয় পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্বকভাবে হুমকির সম্মুখিন হয়ে পরেছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রযোজনীয় ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply