নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
সরকারী ভাবে আমন মৌসুমে অভ্যন্তরিণ ধান ও চাল সংগ্রহের কার্যক্রম আজ বুধবার(০৬ জানুয়ারি)শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে শুরু হয়েছে। কিন্ত উপজেলায় যে পরিমান বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে মিল মালিকগণ অর্ধেকেরও কম চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এতে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকারের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট মিল মালিকরা চুক্তিতে আসছেন না। এ ছাড়া বাজারে দাম বেশি থাকায় তারা সরকারকে ধান-চাল দিতে আগ্রহী নয়। সরকার চালের দাম কেজিপ্রতি ৩৭ টাকা এবং ধানের দাম ২৬ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এবং চাল ১৪৬৭ মেট্রিকটন ও ধান ৮০৩ মেট্রিকটন ক্রয়ের জন্য সরকারী ভাবে বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উপজেলায় একটি অটো রাইসমিল ও চাতাল মিল সহ ৮৩ টি মিলের মধ্যে মাত্র ১৭ টি মিল ৪৩২ মেট্রিকটন চাল দেওয়ার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সরকারী বরাদ্ধ থেকে ১০৩৫ মেট্রিকটন চাল কম সংগ্রহ হবে। আর বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এক কেজি ধানের দাম পরে প্রায় ৩০ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রায় পৌছতে পারবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্য কর্মকর্তা।
নালিতাবাড়ী মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো.আবুদুস সামাদ বলেন,বাজারে ধানের যে দাম আছে তাতে গুদামে দিতে গেলে মিলারদের অনেক লোকসান হয়। তাই সরকার যদি প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন তাহলে মিলারগণ আগ্রহী হবেন।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কে এম নাছির উদ্দিন বলেন,বর্তমান বাজারে ধানের যে দাম তাতে মিল মালিক ও কৃষকদের গুদামে ধান,চাল দিতে অনিহা। তারা বাজারে এর চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করতে পারছে।
ধান ও চাল সংগ্রহ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ক্রয় কমিটির সভাপতি মো.মাহফুজুল আলম মাসুম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ফজলুল হক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কে এম নাছির উদ্দিন,গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো শহিদুল ইসলাম, মালিক সমিতির সভাপতি মো.আবদুস সামাদ,ইউপি চেয়াম্যান খোরশেদ অালম খোকা প্রমুখ।
Leave a Reply