কেশবপুর উপজেলার আগরহাটি মৌজার হামজা ব্রিকস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৫ শতাধিক শ্রমিক মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অবিলম্বে হামজা ব্রিকস চালুর জন্য প্রশাসনের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি শ্রমিকরা।
এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার আগারহাটির এলাকায় হরিহর নদীর পাশ ঘেষে উন্নত মানের ইট প্রস্তুত করার জন্য ৪০/৪৫ বিঘা জমি নিয়ে নির্জন এলাকায় নির্মিত হয় হামজা ব্রিকস। যেখানে ৫ শতাধিক শ্রমজীবি মানুষ শ্রমিক হিসাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ইট ভাটাটির মালিক খুলনার খালিসপুরের হুমায়ুন কবীর ভাটাটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছেন এবং উন্নতমানের ইট প্রস্তুত করছেন। কিন্তু অনৈতিক সুবিধা দাবী করে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সময় ইটভাটাটি নিয়ে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। যার নেতৃত্বে রয়েছে ডুমুরিয়া উপজেলার চহেড়া গ্রামের শিমুল বলে ভাটা কর্তৃপক্ষ জানান। এদিকে গত ৭ জানুয়ারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা অভিযান চালানোর কারণে হামজা ব্রিকস বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ভাটাটির ৫ শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। বর্তমানে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এ ব্যাপারে ভাটাটির শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম, ইসরাফিল গাজী, মোজাফ্ফর সরদার, ইমরান খান, ইব্রাহীম শেখ, জহির উদ্দীন সরদার, মামুন মোল্যা, হযরত মোড়ল, আরিফ গাজী, ইমন সরদার, রাবেয়া খাতুন জানান, উপজেলার আগরহাটি মৌজার হামজা ব্রিকসে ৫ শতাধিক মানুষ শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
ভাটাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তারা অবিলম্বে হামজা ব্রিকস চালু করার জন্য যশোর জেলা প্রশাসন ও কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন।
Leave a Reply