নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
বিগত ৫ বছরেও শেষ হয়নি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১০ কিলোমিটার একটি সড়কের নির্মান কাজ। ফলে সড়কের ধুলা বালি ও খানাখন্দে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কের পাশের বসবাসকারী, ব্যবসায়ী, পথচারি এবং চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। এদিকে কয়েক দফায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বর্ধিত করলেও এখনও বাকি অনেকাংশের কাজ।
উপজেলা এলজিইডি সুত্রে জানাগেছে, নালিতাবাড়ী পৌরশহর থেকে রামচন্দ্র কুড়া মন্ডলিয়া পাড়া ইউনিয়নের সীমান্ত সড়ক পর্যন্ত একটি জনগুরুত্বপুর্ন সড়ক। এ সড়কটির মাধ্যমে কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণ চলাচল করে থাকে। দরপত্রের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে দশকোটি ৩৮লাখ টাকার দশ কিলোমিটার সড়কটির কাজ পায় “রাবেয়া কনস্ট্রাশন” ফরিদপুরের মো.রুবেল মিয়া প্রভাবশালী ঠিকাদার । দুবছরের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দফায় কাজের মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ করতে পারেনি। দশ কিলোমিটারের মধ্যে এখনো চার কিলোমিটার কাজ বাকি রয়েছে। শুরু থেকেই নির্মাণ চলছে ঢিলে ঢালে। জানাগেছে,বিভিন্ অভিযোগের কারনে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো.রুবেল মিয়া জেল খানায় রয়েছে। এবং সারাদেশের তার প্রতিষ্ঠানের সব কাজ বন্ধ রয়েছে। এবং তার সকল ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,সড়কে কয়েক বছর আগে যে খোয়া ফেলা হয়েছিলো তা বিভিন্ন যায়গায় খানাখন্দে রয়েছে। বর্ষাকালে সে সব যায়গায় পানি জমে থাকে। গাড়ি চলাচল করতে করতে সড়কের দুপাশের বাড়ী ঘর ও গাছ সব লাল হয়ে গেছে ইটের লাল ধুলার কারনে।
চলাচলকারী কয়েকজন বলেন,এই রাস্তাদিয়ে একবার গেলে বাড়ীতে গিয়ে গোসল করতে হয়। জামা কাপড় ধুয়ে ফেলতে হয়। এই লাল বালুর কারণে। এই যে কাজ শুরু হইছে কবে শেষ হইবো আল্লাহই জানেন। দেখার কেও নাই।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো.মজনু মিয়ার ফোন নাম্বারে একাদিকবার ফোন করা হলেও কেও রিসিভ করেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,এই কাজের ব্যাপারে আমরা বার বার তাগিদ দিয়ে আসছি। দ্রæত শেষ করতে। দীর্ঘদিন ধরে কাজটি চলছে ঢিলে ঢালে। এখন প্রায় চার কিলোমিটার কার্পেটিং করার বাকী আছে। সময় শেষ হওয়ায় আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
Leave a Reply