শেরপুর ডিবিসি টেলিভিশনের প্রতিনিধি এসএম জুবায়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুরশীদুর রহমান আকন্দ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। জুবায়ের বলেছে হামলার সময় মুরশেদ অনুসারিরা স্লোগান দিতে ছিল। স্লোগান দিতে দিতে অন্তত ২০ মিনিটি ধরে ১৫/২০জন ইচ্ছামত পিটিয়েছে। জুবায়ের বর্তমানে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। গতকাল রাত ৮টার সময় শেরপুর শহরের পূর্বশেরী পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জুবায়ের এর দাবী গত বছরের ১০ আগষ্ট স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের অফিসে আগুন দেয় দুবৃত্তরা। এই আগুন দেওয়ার ঘটনার দায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের উপর চাপিয়ে খবর করার জন্য জুবায়েরকে চাপ দেওয়া হয়। কিন্ত জুবায়ের সত্য ঘটনা তুলে ধরলে তখন থেকেই মুরশেদ জুবায়েরের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। তখনকার ঘটনার জের ধরেই সুযোগ পেয়ে এই কাজ করা হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আজাদ ও ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মুখলেছুর রহমান আকন্দর ছেলে মুরশেদ এর সাথে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় আজ দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাবে জেলার সাংবাদিকদের এক জরুরী বৈঠক বসে। বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার মূল নায়ক মোর্শেদুর রহমানকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে পুলিশের প্রতি আহবান জানানো হয়। অন্যথায় সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে কর্মসূচি গ্রহন করা হবে। বৈঠকে জানানো হয় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২২ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসকের সামনে জেলার সকল গনমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জড়িতরা গ্রেফতার না হলে ওই মানববন্ধন থেকে পরবর্তী কর্মসূচী গ্রহন করার করা হবে বলে জানানো হয়। জরুরী সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাকন রেজা,বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সিনিয়র সাংবাদিক রফিক মজিদ, মাসুদ হাসান বাদল, মহিউদ্দিন সোহেল, ইমরান হাসান রাব্বী প্রমুখ।
জানা গেছে সোমবার রাতে চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলর নাহিদ হাসান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ডিবিসির প্রতিনিধি এসএম জুবায়েরের উপর হামলা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মুরশীদুর রহমান আকন্দের অনুসারীরা। এসময় তার মোবাইল ক্যামেরা ও ট্রাইপেড ছিনিয়ে নেয় দূর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন কমরত অন্য সাংবাদিকরা। রাতেই ছাত্রলীগ নেতা মুরশেদকে প্রধান অভিযুক্ত ও আরও ১৩ জনের নাম এবং বেনামে আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছে দোষীদের ধরতে পুলিশ চেষ্ঠা চালাচ্ছে। মামলা তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply