শেরপুর ৯ তলা বিশিষ্ঠ জেলা হাসপাতালের নতুন ভবনের দুটি লিফটই তিন দিন ধরে বিকল হয়ে আছে। সকল তলাতেই রোগী ভরপুর। লিফট বিকল থাকার কারনে সিড়ি বেয়ে রোগী ও স্বজনরা না পারছে উঠতে না পারছে নীচে নামতে। এই দূর্ভোগ চিকিৎসক নার্সদেরও ভোগাচ্ছে।
জানা গেছে, এ বছরের ৭ জানুয়ারি মাসে পুরাতন ভবন থেকে ওই নতুন ভবনে রোগী স্থানান্তরিত হয়। সেদিন থেকে প্রথম একটি লিফট চালু করা হয়। আরেকটি লিফট বন্ধ রাখে হাসপাতাল প্রশাসন। চালু লিফটি ১৫/২০ দিনের মধ্যেই বিকল হয়ে যায়। চালু করা হয় বন্ধ লিফটটি। এর মধ্যে বিকল লিফটি ঠিক করা হয়। কদিন পর ওই চালু লিফটিও বিকল হয়ে যায়। পরে দুটি লিফট চালু করা হলে তিনদিন আগে আবার দুটিই বিকল হয়ে যায়। দুইটি লিফট এক সাথে বিকল হওয়ার ফলে রোগী, রোগীর স্বজন ও চিকিৎসার সাথে জড়িতরা উঠানামা করেতে পাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশী বিপদে পড়েছে ৪ তলা থেকে ৯তলায় অবস্থান করা রোগীরা। সরজমিনে বুধবার দুপুরে সাহাজ উদ্দিন নামে রোগীর এক স্বজন জানিয়েছে তার মা ৭ তলায় আছেন। মায়ের ছুটি হলেও নামাতে পারছেন না। ভোক্তভোগীদের অভিমত এত বড় হাসপাতালে শুধুমাত্র দুইটি লিফট দেওয়া ঠিক হয়নি। তাছাড়া লিফটের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
হাসপাতালের তত্ত¡বধায়ক ডাঃ আওনোয়ারুল রউফ জানেয়েছেন প্রতি লিফটে উঠার কথা ১০ জন সেখানে উটছে ১৫/২০ জন করে। বিকল হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি লিফট ব্যবহারে জনগনের অজ্ঞতাকে দায়ী করেন। তিনি আরও বলেন লিফট চালু করতে ইতিমধ্যে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে ঢাকা থেকে প্রকৌশলি ডাকা হয়েছে। ঠিক করার চেষ্ঠা চলছে।
Leave a Reply