শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে জমির ভূয়া বায়নাপত্র সাজিয়ে বিশ্বমিত্র নামে এক সংখ্যালঘু আদিবাসী কোচ পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। বিশ্বমিত্র উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের শালচুড়া গ্রামের মৃত দবিরাম কোচের ছেলে।
বিশ্বমিত্র জানান, তার বড়ো ভাই বিশ্বধর ২০০৮- ৯ সালে রাংটিয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে কাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেয়। ওই টাকা ফেরৎ দিতে না পারায় নাজিম উদ্দীন তৎকালীন নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান, ওই টাকার বিষয়ে তার গ্রাম্য আদালতে বিশ্বধর কোচ এক লাখ টাকা ধার নেয়ার কথা স্বীকার করেন। ওই টাকার বিষয়ে ২০১২ সালেও সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্শা ও শালীশ দরবার করেন বলে জানান তিনি। এসময়ে কাজিম উদ্দিন বিশ্বধরের কাছ থেকে সাদা স্টেম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। ওই স্টেম্পে স্বাক্ষি হিসাবে স্বাক্ষর নেয়া হয় তার ছোট ভাই বিশ্বমিত্র ও নিতাই কোচকে।
জানাগেছে,গতবছর বিশ্বধর মৃত্যুবরন করেন। এদিকে কাজিম উদ্দিন ওই সাদা স্টেম্পে সাড়ে ৭লাখ টাকার একটি বায়নাপত্র সাজিয়ে সম্প্রতি ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ২লাখ ৫০হাজার টাকা কাজিম উদ্দিনকে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দেন। ওই টাকার জামিনদার হন নলকুড়া ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিউলি আক্তার।
শিউলি আক্তার জানান, ইতিমধ্যেই কাজিম উদ্দিনের ২ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু কাজিম উদ্দিন ও তার লোকজন ওই আদিবাসী কোচ পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। এতে ওই কোচ পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এব্যাপারে কাজিম উদ্দিন বলেন, বিশ্বধর প্রথমে পরে আরো ১লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছিলেন। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বায়নাপত্র সাজানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান কাজিম উদ্দিনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্তের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply