নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল কাম ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ১৯ জনের বিগত ৪ বছরের বকেয়া বেতন পরিশোধ,চাকরী স্থায়ী ও সেন্টারটি পুনঃরায় চালু করার দাবীতে অবস্থান কর্মসুচী পালণ করছেন কর্মচারীগণ। বুধবার(১৪ জুন)সেন্টারের সামনে আজ থেকে এ অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেছেন।
জানাগেছে,শেরপুর জেলার পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী,সুবিধা বঞ্চিত বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের আত্মকর্ম সংস্থান এবং অনগ্রসর নারীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে“নালিতাবাড়ী কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল কাম ট্রেনিং সেন্টার”এর জন্য ছয় তলা একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এবং মহিলা অধিদপ্তর একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯ জন জনবল নিয়োগ দিয়ে ২০১২ সাল থেকে ট্রেনিং কার্যক্রম শুরু করে। ছয়টি ট্রেডে ৬০ জনকে থাকা খাওয়া সহ তিন মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এভাবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রায় তিনশত জন নারী আজ দেশের বিভিন্ন যায়গায় চাকরী করছেন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৯ সাল পর্যন্ত হলেও পরবর্তীতে এই প্রকল্পের মেয়্দা বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে ২০১৯ সাল থেকে প্রশিক্ষণ সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এখানে কর্মরত ১৯ জনের বেতন ভাতাও বন্ধ রয়েছে। আজ বুধবার থেকে তাঁদের বকেয়া বেতন পরিশোধ,চাকরী স্থায়ী করণ ও প্রশিক্ষণ সেন্টারটি পুনঃরায় চালু করার দাবীতে কর্মরত সকলেই প্রশিক্ষণ কেন্ত্রের সন্মুখে অবস্থান কর্মসূচী পালণ করছেন।
প্রশিক্ষক সাথী আক্তার জানান, শত শত বেকার ও অল্প শিক্ষিত নারী এখান থেকে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেরা দক্ষ হয়েছেন। অনেকেই চাকরী করে বেকারত্ব গুচিয়েছেন। প্রকল্প পুনরায় চালু না হওয়ায় ও মেয়াদ বৃদ্ধি না পাওয়ায় নারীদের এ অগ্রযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। আমরাও বেকার হয়ে পড়েছি।
প্রশিক্ষক স্মৃতি রানী জানান, নালিতাবাড়ী তথা শেরপুর জেলার পিছিয়ে পড়া নারী জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণের এ কেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। বর্তমানে চাকুরীতে আবেদনের বয়সও নেই। এখন আমরা যাব কোথায়?
সহকারী হোস্টেল সুপার পলি আকতার বলেন,প্রশিক্ষণ সেন্টারটি চালু হওয়ার পর আমাদের এই অঞ্চলের অনেক নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ তারা কর্ম করে খাচ্ছেন। কিন্ত এই চার বছর বন্ধ থাকায় সরকারের কোটি কোটি টাকার মালামাল ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। তাই আমাদের বেতন ভাতা পরিশোধ,চাকরী স্থায়ী করণ সহ সেন্টারটি আবার চালু করার দাবী জানাচ্ছি।
Leave a Reply