1. admin@somoyerahoban.com : admin :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৪ অপরাহ্ন

ছুটি পেলেই মাতৃভুমি দেখতে মোটর সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন তাঁরা

সাইফুল ইসলাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩৭০ বার

মনের অদম্য ইচ্ছা থাকলে শখ পূরণে টাকা কোনো বাধা নয়, সঠিক পরিকল্পনা করে খুব কম টাকায় পদক্ষেপ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হলো। এমনি অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী শহীদ আবদুর রশিদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ছুটি পেলেই মোটর সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন মাতৃভুমি সোনার বাংলাদেশ দেখতে।
২০১০ সাল থেকে তারা কলেজে একটু লম্বা ছুটি পেলেই মোটর সাইকেল নিয়ে মাতৃভুমি দেখতে বেরিয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে সিলেট বিভাগ. রংপুর বিভাগ .রাজশাহী বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা শেষ করেছেন। এবার পুজার ছুটি পাওয়ায় বরিশাল বিভাগের উদ্দেশ্যে যাত্র্ াশুরু করেছেন। এবারের যাত্রায় রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক আবদুস সোবহান,মহিউদ্দিন আহমেদ. আবদুল্লাহ আল সানী.রৌশন জামিল বিপ্লব. আবু তালেব, প্রভাষক মতিউর রহমান ও শরীর চর্চা শিক্ষক আসাদুল ইসলাম এরশাদ।
ঘোরাঘুরি করতে যে খুব বেশি টাকাপয়সার দরকার পড়ে, তা–ও না। জরুরি একটা সাহসী মন। ঘোরাঘুরি আসলে দুভাবেই করা যায়। কম বাজেটে আর বেশী বাজেটে। তবে কম বাজেটের মধ্যে মোটর সাইকেল ভ্রমণ করতে পারার মধ্যে আলাদা আনন্দ আছে। এই ঘুরে বেড়ানো শিক্ষকদের সাথে কথা বলে অনেক কিছুই জানাগেছে।
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখতে দোষ কী! বরং নিজেকে বড় ভাবতে পারলেই মাঝারিতে পৌঁছানো যায়। কেউ হয়তো মাসে লাখ টাকা আয় করছেন। আর এ আয় তিনি করেই যাচ্ছেন। কিন্তু দিন শেষে তাঁর অর্জন ওই টাকাই। বছর শেষে তিনি যখন পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন, দেখছেন ব্যাংকে শুধু লাখ লাখ টাকা জমেছে। আর কোনো সুন্দর স্মৃতি জমা নেই। মনের ব্যাংকটা পুরোটাই ফাঁকা । টাকা উপার্জন যেই সুখের জন্য, সেই সুখ কি সব সময় টাকা থাকলেই মেলে! সুখের জন্য খুব বেশি টাকার দারকার হয় না। ছোট ছোট শখ পূরণ করতে, নিজেকে খুশি রাখতে টাকার চেয়ে সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই জরুরি। অনেক সময় বহু টাকা ব্যয় করে, বহু পথ ঘুরেও যে সুখ মেলে না, সেটা পাওয়া যায় ঘরের কাছে। প্রয়োজন শুধু চোখ মেলে দেখার, ঘর হতে দুই পা সামনে ফেলার।
আমরা ঘুরতে যাওয়া মানেই বুঝি কক্সবাজার,রাঙামাটি,বান্দরবান,সুন্দরবন,মংলা সমুদ্র সৈকত ইত্যাদি। এগুলো যাওয়া মানে তো বিশাল টাকার গচ্চা। তাই যাব যাব করেও যাওয়া হয়ে ওঠেনি। অথচ ফেসবুকের কল্যাণে রোজ দেখছেন লোকে লোকারণ্য এই সমুদ্রশহর। আপনি একটা সঠিক পরিকল্পনা করে বেড়াতে গেলে ঠকবেন না। যেমনি ভাবে ওই শিক্ষকগণ ঘুরছেন। এখন মোটর সাইকেল নেই একটু স্বচ্ছল পরিবারে খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেশ বিদেশ ঘুরে বেরানো অনেকের শখ। খুব অল্প টাকায় মোটর সাইকেল ভ্রমন ইচ্ছা মাফিক ও আরাম দায়ক। যে খানে খুশি দাঁড়ানো,চা খাওয়ার ইচ্ছা হলো,নামাজ পড়ার সময় হলো সব কিছুই নিজের মত করে করা যায়।
এই শিক্ষকগণ যে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে তাও না। জীবনটাকে সুন্দরভাবে যাপন করার জন্য, প্রতিদিনের একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠতে মাঝেমধ্যে এসবের দরকার হয়। এতে প্রতিদিনের রুটিন মাফিক জীবনে একটা আনন্দের রেখা দেখা যায়। যে সুখস্মৃতি পরবর্তী সময়ে মানুষকে তার সামনে এগিয়ে যাওয়ার রসদ জোগায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...