নালিতাবাড়ী(শেরপুর)প্রতিনিধি
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি গতরাত (০৫ অক্টোবর) থেকে কমতে শুরু করেছে। কিন্ত নিন্মাঞ্চলের চার টি ইউনিয়নের নুতন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- বাঘবেড় গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী অমিজা খাতুন (৪৫),নয়াবিল ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামের ইদ্রিস মিয়া (৮০),নন্নী ইউনিয়নের অভয়পুর গ্রামের বছির উদ্দীনের দুই ছেলে আবু হাতেম (৩০) ও আলমগীর (১৭) এবং বাতকুচি গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৪৫)।
রোববার সকাল ১০টায় ভোগাই নদীর পানি বিপদ সীমানার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদ সীমানার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) রাত থেকে ভারী বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। এতে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বিভিন্ন অংশ ভেঙে ও বাধ উপচে ঢলের পানি উপজেলার কাকরকান্দী,নালিতাবাড়ী,পোড়াগাঁও, নয়াবিল, নন্নী, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড় ও পৌরসভা প্লাবিত হয়। গতকাল(০৫ অক্টোবর)শনিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর ৬০ জন সদস্য ৬ টি স্পীডবোটের মাধ্যমে পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। গতকাল শনিবার রাত থেকে উজানের পানি নিন্মাঞ্চল হিসেবে যোগানিয়া,মরিচপুরান,কলসপাড়,রাজনগর ইউনিয়নে নুতন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যোগানিয়া ইউনিয়নের ২৭টি গ্রাম, মরিচপুরান ইউনিয়নে ১৪টি গ্রাম,কলসপাড় ইউনয়নে ১৫টি গ্রাম ও রাজনগর ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের পরিবারের বাড়ীতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সবাই পনিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাড়াও সেনাবাহিনী স্পীডবোট কাজ করছে। সড়কে পানি উঠায় নালিতাবাড়ী থেকে নকলা উপজেলার দুইলেন সড়ক ও নালিতাবাড়ী থেকে গাজীর খামার হয়ে শেরপুর সড়কে যাতায়াত ব্যহত হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর ৬টি স্পিটবোড পানিবন্দি মানুষকের সরিয়ে আনতে কাজ করছে। এছাড়া সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কাজ অব্যহত রয়েছে।
উপজেলা নিবাহী কমকতা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ভাটিতে পানি নেমে যাওয়ায় নতুন করে ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্পীডবোটের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন। মানুষের উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কাজ অব্যহত রয়েছে।
Leave a Reply