নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে স্কুলছাত্রী মায়মুনা হত্যার ঘটনায় অবশেষে রহস্যের জট খুলেছে। মাত্র ৩০ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের তৎপরতায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ভিকটিমের ফুফা ছাইদুল ইসলামকে (৩৯) ঢাকার খিলগাঁও তিলপাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (২৯ আগস্ট) গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সে জানায়, ভিকটিম মায়মুনা তাকে ‘ঘর জামাই’ বলে উপহাস করায় ক্ষোভে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে।
আসামি ছাইদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার ধুরাইল গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে নালিতাবাড়ীর ভালুককুড়া গ্রামে বসবাস করছিল।
শেরপুর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে এবং নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ও সহযোগী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে এ সাফল্য আসে। অভিযানে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের এলআইসি ইউনিটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর ২৭ আগস্ট নালিতাবাড়ীর ভালুককুড়া গ্রাম থেকে মায়মুনার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জঘন্য এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply