1. admin@somoyerahoban.com : admin :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

নালিতাবাড়ীতে সূর্যনগর বড়ডুবি আলিম মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৫৬২ বার

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় সূর্যনগর বড়ডুবি আলিম মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য,মাদরাসার জমি সাবকাওলা ও এগ্রিমেন্ট বিক্রি করে অর্থ আত্মসাত সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গত ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ,মাদরাসা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের সূর্যনগর বড়ডুবি আলিম মাদরাসা‌টি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদরাসায় বর্তমানে ২০ জন শিক্ষক ও ৭ জন কর্মচারী রয়েছেন। আর এবতেদায়ি থেকে আলিম পর্যন্ত খাতা কলমে ৪০৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বাস্তবে এর অর্থেকও শিক্ষার্থী নেই।
গত ২০০৪ সালে মাওলানা সুরুজ্জামান এই মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। এরপর থেকেই নিজের মত করে পকেট কমিটি,টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ,মাদরাসার জমি সাবকাওলা ও এগ্রিমেন্ট বিক্রি করেন। মাদরাসায় অধ্যক্ষের ছেলে হাদিউল ইসলামকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে ও ছেলের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার হিসেবে নিয়োগ দেন। জাল সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এ ছাড়াও আরো তিন জন শিক্ষককে জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মাদরাসায় বর্তমানে চার সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি রয়েছে। মাদরাসায় অবকাঠামো ও মাঠ সহ ৮১ শতাংশ,পুকুর ৩০ ও আবাদী এক একর জমি রয়েছে বলে অধ্যক্ষ জানায়। এরমধ্যে আবাদী সব জমি এগ্রিমেন্ট দেওয়া আছে। কোন প্রতিষ্ঠানের জমি এগ্রিমেন্ট দেওয়া যায় কি না প্রশ্ন করা হলে সুপার বলেন নিয়ম মাফিক দেওয়া হয়েছে কি না আমার মনে নেই।
বড়ডুবি গ্রামের সুরুজ্জামান (৪৫)বলেন,যারা এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন,জমিদান করেছেন তাদের বা তাদের পরিবারের কাউকে না জানিয়ে অধ্যক্ষ তাঁর ইচ্ছে মাফিক এই প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। অধ্যক্ষ জমির যে হিসাব দিয়েছেন এর বাইরে আরো দুই একর জমি আছে যা তিনি সাব কাওলা বিক্রি করেছেন।
ওই মাদরাসার সাবেক শিক্ষক আবদুল বারী বলেন, ২০১১ সালে আমি অবসরে যাই। অধ্যক্ষ ২০১২ সাল থেকে তাঁর আত্মিয় স্বজন দিয়ে কমিটি করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে।
মাদরাসার অধ্যক্ষ সুরুজ্জামান বলেন,আমার বিরোদ্ধে যা অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমি কোন অনিয়ম বা দুর্নীতির সাথে জড়িত নই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন বলেন,একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে খোঁজ নিতে বলেছি আর অফিসিয়ালি অধ্যক্ষকে নোটিশ করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...