1. admin@somoyerahoban.com : admin :
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণে তওহীদ ভিত্তিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই শীর্ষক গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা। পাহাড়ে মেঘ দেখলেই আতঙ্ক ছড়ায় নালিতাবাড়ীতে ওএমএসের আটা কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন,চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম, ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। নালিতাবাড়ীতে ‘আলোকবিন্দু’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাংগঠনিক পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীতে ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ নালিতাবাড়ীতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, গ্রেপ্তার ৪ নালিতাবাড়ীতে রোটারির প্রকৃতিযাত্রা নালিতাবাড়ীতে ২৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ ও পৌরশহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন উদ্বোধন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন নারী সাংবাদিককে উপেক্ষা: গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য লজ্জাজনক নজির

নালিতাবাড়ীতে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪
  • ১৯১ বার

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণের মধ্য দিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) সকালে সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের আয়োজনে সেঁজুতি অঙ্গনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সেঁজুতি অঙ্গনে শেষ হয়। এরপর প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের প্রভাষক স্বপ্না চক্রবর্তী, শিক্ষক শান্তি সাহা, সাংবাদিক শাহাদত তালুকদার,শিক্ষক অমিত চক্রবর্তী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন একুশে দ্যুতি ও চন্দ্রিকা দ্যুতি।
বক্তারা বলেন,১৯৭১ সালে তৎকালীন ইকবাল হলের (শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) শিক্ষার্থীরা লাল সবুজের পতাকা বানিয়েছিল। এটিই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যেটি আমাদের অনুপ্রেরণা ও শক্তিতে পরিণত হয়। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস। পাকিস্তান দিবসে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে তার পরিবর্তে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এটিই আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, ‘বিশ্বে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেটি একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি করে। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ থেকে শুরু করে চুড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করেছিল সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি প্রয়োজন ছিল, সেটার প্রথম এবং প্রধান যোগানদাতা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক দিলারা বেগম,আফরোজা আক্তার,রওনক জাহান রুনি,শঙ্করী সূত্রধর,মনি গাঙ্গুলি,তনিমা ইসলাম,পারভীন আকতার,জেসমিন আকতার,নাজমা খাতুন,ফারজানা বেগম,মমতাজ বেগম,শিরিন বেগম,সুজান্না সাংমা,রাশেদা আকতার,রিক্তা আকতার,রতœা রহমতুল্লাহ, শর্মিলা শরীফ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসমাবেশে ছাত্রনেতা আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ডাকসু নেতারা বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই পতাকার মাঝখানে ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র। স্বাধীনতার পর পতাকা থেকে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ ও রঙ নির্ধারণ করে এর পরিমার্জন করা হয়, যা আজ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সবুজ আয়তক্ষেত্রের মাঝখানে লাল বৃত্ত, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...