1. admin@somoyerahoban.com : admin :
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণে তওহীদ ভিত্তিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই শীর্ষক গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা। পাহাড়ে মেঘ দেখলেই আতঙ্ক ছড়ায় নালিতাবাড়ীতে ওএমএসের আটা কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন,চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম, ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। নালিতাবাড়ীতে ‘আলোকবিন্দু’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাংগঠনিক পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীতে ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ নালিতাবাড়ীতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, গ্রেপ্তার ৪ নালিতাবাড়ীতে রোটারির প্রকৃতিযাত্রা নালিতাবাড়ীতে ২৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ ও পৌরশহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন উদ্বোধন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন নারী সাংবাদিককে উপেক্ষা: গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য লজ্জাজনক নজির

বসবাস করেন ভারতে চাকরি করেন বাংলাদেশে!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২
  • ২৮৬ বার

স্বপরিবারে ভারতে বাড়ি করে বসবাস শুরু করলেও বেতন-ভাতাসহ সকল সুবিধাই ভোগ করে চলেছেন পাবনার বেড়া উপজেলার মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর কেজেবি ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষক। প্রায় ৫ বছর আগে চলে গেলেও মাঝে মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে অভিনব কায়দায় বেতন উত্তোলন করে চলেছেন তিনি। তবে গত এক বছরে আর দেশে আসেন নাই ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ দত্ত। পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন ভারতের কলকাতায়।

মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর কেজেবি ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মন্নাফ সরকারের দেয়া লিখিত অভিযোগ পত্রে জানা যায়, গণিত বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ দত্ত প্রায় ৫ বছর আগে স্বপরিবারে ভারতে চলে যান। মাঝেমধ্যে তিনি ভারত থেকে দেশে এসে কলেজে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে যান। তবে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে গত প্রায় ১ বছরের অধিক সময় ধরে বিনা ছুটিতে ভারতে অবস্থান করায় তার স্বাক্ষর জাল করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস ও বিশ্বনাথ দত্তের ভাই সুনিল দত্তের যোগসাজসে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।

বিশ্বনাথ দত্তের চাকরির ইনডেক্স নং-৪০৩৩৮৪, সোনালী ব্যাংক, বেড়া শাখা, পাবনার ব্যাংক হিসাব নং-০০২০৬৩২৫১। যা ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা মিলেছে।
লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, বিশ্বনাথ দত্ত তার বড় ভাই সুনিল দত্তের কাছে ব্যাংকের চেকবই স্বাক্ষর করে রেখে গেছেন। প্রতি মাসে বেতন বইতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজেই বিশ্বনাথ দত্তের নামের ঘরে স্বাক্ষর করে বেতন ব্যাংক হিসাবে জমা করার পরে বিশ্বনাথ দত্তের ভাই সুনিল দত্তকে দিয়ে ব্যাংক থেকে সমুদয় টাকা (মাসিক ৪০,৩৫৩ টাকা) উত্তোলন করে অর্ধেক টাকা নিজেই নিয়ে নেন। এছাড়া কলেজ অংশের মাসিক বেতনের ১৯৪৮টাকার পুরোটাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস জাল স্বাক্ষর করে আত্মসাৎ করেন। বেতনের অর্থ গ্রহণের বিনিময়ে ভারতে অবস্থান করেও বাংলাদেশে চাকরি করাকে বৈধতা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস।

কোনো প্রকার কাজকর্ম না করেই বেতনভাতাসহ সরকারের উৎসব ভাতা ও বোনাসসহ অন্যান্য সুবিধাদি ভাগ করছেন বছরের পর বছর। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যেও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অভিযোগকারী শিক্ষক মন্নাফ সরকার পুরো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্বনাথ দত্ত বহুদিন ধরে স্বপরিবারে ভারতে থাকেন। এক বছর হলো সে কলেজে আসে না, অথচ কলেজ থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন নিয়মিত। হাজিরা খাতায় লাল কালি দিয়ে অনুপস্থিত লেখা আছে। তিনি বিভিন্ন অজুহাতে অনুপস্থিত দেখায় প্রায় এক বছর।
তিনি অভিযোগ করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস নিজেই তার স্বাক্ষর দিয়ে দেন। আর আমরা শুনেছি বিশ্বনাথের ভাইয়ের কাছে সোনালী ব্যাংকের চেক বইয়ে স্বাক্ষর করে রেখে গেছেন এবং সে নাকি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন।

অভিযোগের বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস বলেন, ওই শিক্ষক বাইপাস সার্জারি করা, অসুস্থ থাকায় সেখানে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন। কলেজ পরিচালনা কমিটি মানবিক দিক বিবেচনা করে তার বেতন বহিতে স্বাক্ষর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ব্যাংক থেকে কারা টাকা উত্তোলন করেন বিষয়টি আমার জানা নেই।

সোনালী ব্যাংক বেড়া শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিশ্বনাথ দত্তের প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসেই একাউন্টে জমা হচ্ছে এবং তা উত্তোলনও হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ খান বলেন, ‘আমি এই কলেজের নতুন সভাপতি হয়েছি। আমি বিশ্বনাথ স্যারের বিষয়ে শুনেছি, তিনি অসুস্থতার অজুহাতে ভারতে অবস্থান করেন। আমি সভাপতি হওয়ার পর কলেজে তিন চারটি মিটিং করেছি। তার সাথে আমার একবারও দেখা হয়নি। এবার আমি কলেজে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে ১৫ আগস্ট তাকে উপস্থিত থাকার জন্য বলেছি। যদি উপস্থিত না হন তাহলে আমি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, কলেজের অধ্যক্ষ এবং গভর্নিং বডির সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া তো বেতনই হয় না। তাহলে কিভাবে এতদিন বিশ্বনাথ দত্তের বেতন হয়? এই দুর্নীতিতে সবারই হাত আছে। এরচেয়েও বড় বিষয় হল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কোন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এক বছরের বেশি থাকার নিয়ম নেই। অথচ কোন শক্তির জোরে আব্দুস ছালাম বিশ্বাস বিগত তিন বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন?

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ দত্ত ও তার ভাই সুনিল দত্তের সঙ্গে কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বেড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: খবির উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। তবে ছুটি ছাড়া বহুদিন কলেজে অনুপস্থিত থেকে তিনি বেতন উত্তোলন করতে পারেন না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বেড়া উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মোহা: সবুর আলী জানান, ‘এটা কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সুত্রঃবিডি-প্রতিদিন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...