নালিতাবাড়ী(শেরপুর)প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার অটোচালক ইব্রাহিম খলিলের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন ও বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাবা সেকান্দার আলীসহ পরিবারের সদস্যরা
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে পিপুলেশ্বর গ্রামের নিজ বাড়িতে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের ফটিয়াকান্দি গ্রামের আমির উদ্দিনের মেয়ের সাথে ১৬ বছর আগে ইব্রাহিম খলিলের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির এক কন্যা ও এক ছেলে সন্তান আছে। সাংসারিক বিভিন্ন কারণে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এ অবস্থায় তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের বাড়ি নিয়ে যান৷ এদিকে স্ত্রী শশুরবাড়ি চলে যাওয়ায় ইব্রাহিম ঢাকায় চলে যান৷ সেখানে একটি অটোরিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিল৷
এরমধ্যে গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে ইব্রাহিম৷ কয়েকদিন পর ২৪শে ডিসেম্বর রাতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন ইব্রাহিম। এরপর ২৫ ডিসেম্বর সকালে ইব্রাহিমের মরদেহ তার শ্বশুরবাড়ির কাছে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার স্বজন ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
তার বাবা সেকান্দার আলী বলেন, আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করতেছি, ছেলের বৌয়ের পরকীয়ার জের ধরে ইব্রাহিম খলিলকে তার শশুরবাড়ির লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয় হাতেম আলী বলেন, আমি লাশ গোসল করানোর সময় দেখি ডান পা ভাঙা,ঘাড় মটকানো ও ডান হাতের নিচে জখম দেখি কিন্ত ওরা বলছে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। গোসর করানোর সময় আমি কোন বিষের গন্ধ পাইনি। আমরা সঠিক তদন্ত করে ইব্রাহিমের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উন্মোচন চাই৷
এদিকে এ ঘটনার ২৯ ডিসেম্বর ইব্রাহিমের শশুরবাড়ির ৮জনের নামে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে তার ভাই রফিকুল ইসলাম৷
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইব্রাহিমের স্ত্রী আমিরুনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোশারফ হোসেন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়৷ ময়নাতদন্তের পর আলামত সংগ্রহ করে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য ঢাকা মহাখালী পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। সেখানে যদি হত্যার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অপমৃত্যু মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে পরিণত হবে’।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিম খলিলের মা আনু খাতুন, বাবা সেকান্দার আলী, ভাই রফিকুল ইসলাম, ছেলে আবুল হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Leave a Reply