নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ব্রীজের নীচ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে ইট দিয়ে স্থায়ী ভাবে বাঁধ দেওয়ায় পানির স্রোতে ব্রীজের পাশে প্রায় ২০-২৫ ফিট সড়ক ভেঙে গেছে। এতে এখন ওই ভাঙন অংশে সাঁেকা দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কওমী মাদরাসার ছাত্র ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
জানা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের তন্তর কান্দাপাড়া মাদরাসা মোড় থেকে কালাকুমা যাওয়ার পথে ইরফান আলীর বাড়ী সংলগ্ন এলজিইডি ১৯৯৯ সালে একটি ব্রীজ নির্মাণ করেন। তিন বছর আগে ইরফান আলী ওই ব্রীজের নিচ থেকে ১০ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনী দিয়ে ছয় ফিট উচ্চতা করে স্থায়ী বাঁধ দিয়ে রাখেন। এতে ব্রীজের উজানে তন্তর বিলের প্রায় ৩৬০ একর জমির পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। উজানের জমিতে বর্ষার পানি এই ব্রীজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাটিতে বুড়িভোগাই খালে নেমে যায়। চলতি বর্ষায় উজানে বেশী পানি হওয়ায় জুলাই মাসের ২৩ তারিখে ওই ব্রীজের নিচে বাঁধ থাকায় পানির চাপে ব্রীজ সংলগ্ন প্রায় ২০-২৫ ফিট সড়ক ভেঙে যায়। এখন এলাকাসী বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। ব্রীজের দক্ষিনে তন্তর দারুল সুন্নত কওমী মাদরাসা,মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থান রয়েছে। আর উত্তরে তন্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালাকুমা বাজার রয়েছে। এই বাঁেশর সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষ সহ মাদরাসা ও বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা চলাচল করছে।
ইরফান আলী বলেন,ওই বন্দে আমার নিজেরও জমি আছে। এই দিকে বেশী নিচু থাকায় জমির সব পানি নাইম্মা যায়। তাই আমি বানডা দিছিলাম যাতে ওই জমি গুলাতে সব সময় পানি থাহে। এখনা বেশী পানি হইয়া সড়কটাই ভাইংগা গেছে।
রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের খোরশেদ আলম খোকা বলেন,আমার বাড়ীর কাছেই ব্রীজটা। খুব তারাতারি সড়ক মেরামতের ব্যাবস্থা করা হবে। আর ব্রীজের নিচে ইট দিয়ে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে তাও ভেঙে দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল আলম রাকিব বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। খুব শীঘ্রই সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply