নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৪৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনেও রুমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
র্সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নির্বাচনের ভোটগণনা শেষে ওই ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক(ডিসি)সাহেলা আক্তার।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া বিষু চশমা প্রতিকে পেয়েছেন ৫ ভোট।
শেরপুর সদর উপজেলা আনারস ৫৩ ভোট,মোটরসাইকেল ১৪২ ভোট
নকলা উপজেলায় আনারস ২৯ ভোট,মোটরসাইকেল ১০৪ ভোট,
নালিতাবাড়ী উপজেলায় আনারস ৫২ ভোট,মোটরসাইকেল ১১৮ ভোট
শ্রীবরদী উপজেলায় আনারস ৪০ ভোট,মোটরসাইকেল ১০৪ ভোট
ঝিনাইগাতী উপজেলায় আনারস ১৩ ভোট,মোটরসাইকেল ৮১ ভোট
এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে বিজয়ী প্রার্থীরা হচ্ছেন ১নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ মোছা মিঞা, ২ নং ওয়ার্ডে মো. মাহমুদুল হাসান মুক্তা, ৩নং ওয়ার্ডে মো. ছানোয়ার হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডে হাফিজুর রহমান খোকন ও ৫ নং ওয়ার্ডে আবু তাহের।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে (শেরপুর সদর ও শ্রীবরদী) এ্যাডভোকেট ফারহানা পারভীন মুন্নী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং ২নং ওয়ার্ডে (নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী) বিজয়ী হয়েছেন উম্মে কুলসুম রেণু।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়,বিরতিহীন ভাবে চলে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত। জেলার ৫টি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১০ টি ভোটকক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ওই ভোটগ্রহণ করা হয়।
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেটের পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ টহলে ছিলেন। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সশস্ত্র পুলিশ ও আনসারসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন ছিলো। জেলায় ৫টি উপজেলা পরিষদ, ৪টি পৌরসভা ও ৫২টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ছিল ৭৪৩ জন।
Leave a Reply