1. admin@somoyerahoban.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন

নালিতাবাড়ীতে বৃষ্টিহীন বর্ষায় রোপা আমন ধান লাগানো নিয়ে বিপাকে কৃষক

রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩
  • ১০৮ বার

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
বৃষ্টিহীন আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ এলেও ভারী ৃবৃষ্টিপাতের দেখা নেই শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ফলে বর্ষা মৌসুমে পুড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকের স্বপ্ন। বর্ষা মৌসুমে আমন আবাদের প্রয়োজনীয় কাঙ্খিত বৃষ্টি না থাকায় চরম হতাশায় রয়েছেন কৃষকেরা । তাপমাত্রার পারদ এখন উর্ধ্বমুখী। তাই বৃষ্টি না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন আমন চাষিরা। পানির অভাবে বিস্তীর্ণ মাঠ এখন আষাঢ় মাস জুড়েই মানুষ বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনেছে। কিন্তু প্রত্যাশার সেই বৃষ্টি দেখা মেলেনি শ্রাবণেও।
সাধারণত মধ্য আষাঢ় থেকে শুরু করে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত আমন ধানের চারা জমিতে রোপণ করা হয়। কিন্তু এবার তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় তাঁরা আমন চাষাবাদ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। মূলত বর্ষাকালে বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে কৃষকেরা রোপা আমনের চারা লাগিয়ে থাকেন। সাধারণত বীজতলায় তৈরি হওয়া চারা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে জমিতে লাগানো হয়।
শ্যালোমেশিন চালিত ও বিদ্যুতচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে বীজতলা তৈরি করে ধানের চারা তৈরি করলেও অনেক কৃষকের চারার বয়স দেড় মাস পেরিয়ে গেছে কিন্তু বৃষ্টি পাতের অভাবে ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না । ফলে কৃষকের মাঝে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা ও হতাশা।
এদিকে রোপা আমনের চারা লাগানোর জন্য কিছু কিছু শ্যালোমেশিন চালিত ও বিদ্যুতচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে শুরু করেছেন। এতে কৃষকের খরচের পাল্লা ভারী হবে বলে কৃষকরা জানান। তারা আরো বলেন, গত বোরো মৌসুমে ধান আবাদে চরম লোকসান করেছি। ধানের আবাদ ভালো হওয়া সত্ত্বেও কাঙ্খিত দাম না পেয়ে আমরা পুঁজি রক্ষা করতে পারিনি। পানির দরে উৎপাদিত ধান বিক্রি করে এখন আমরা নিশ্ব। মনে করেছিলাম আমন আবাদ করে বোরোর ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবো। কিন্তু পানির অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ইলিয়াছ আহামেদ বলেন,আমগর এই পাহাড়ী এলাকা এমনিতে উচু জমি। এর মধ্যে বৃষ্টির দেখা নাই ঈদের পর থেকে। তাই মেশিন দিয়ে খেত তৈরি করে ধান লাগাইতাছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আমরা মেশিনের মাধ্যমে ধান লাগানোর কথা কৃষকদের জানিয়েছি। এ বছর জেলা থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২২ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আশা করছি আরো বেশী আবাদ হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...