1. admin@somoyerahoban.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নালিতাবাড়ীতে বন্যায় বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নালিতাবাড়ীতে বন্যার্তদের ত্রাণ দিলেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন নালিতাবাড়ীতে বন্যাদুর্গতদের মাঝে সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ ও মেডিক্যালক্যম্প। নালিতাবাড়ীতে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে বন্যার্তরা নালিতাবাড়ীতে ঢলের পানি উজান থেকে নেমে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত,ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ অব্যাহত,মৃত্যু ৫ নালিতাবাড়ীতে ঢলের পানিতে বৃদ্ধ ও নারীর মৃত্যু, দুই ভাইসহ নিখোঁজ ৩ ভারত থেকে হু হু করে আসছে পানি, সঙ্গে বৃষ্টি, নালিতাবাড়ীতে বন্যার শঙ্কা নালিতাবাড়ীতে ভারতীয় সন্দেহে ১০ গরু আটক, রা‌তের আধা‌রে ছাড়। নালিতাবাড়ীতে বজ্রপাত ঠেকাতে তালের বীজ রোপন শেরপুরে ৩১ বস্তা সরকারি চাল জব্দ,আটক-১

নালিতাবাড়ীতে বন্যায় বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫ বার

নালিতাবাড়ী(শেরপুর)প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যায় বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ০৩ অক্টোবর অতি বৃষ্টিপাত ও উজান হতে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (শেরপুরপবিস) উপজেলার লাইন, ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক পোলের ক্ষয়ক্ষতির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা গেছে,বিদ্যুৎ আওতাধীন সকল এলাকাই কম-বেশি বন্যা কবলিত হওয়ায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক জায়গায় ট্রান্সফরমারের ফিউজ কেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হয়। এছাড়া, অনেক বসতবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়ে মিটার পর্যন্ত চলে আসায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়। উপজেলার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিভিন্ন শ্রেণির মোট ১৯ হাজার ১৭০ জন গ্রাহক রয়েছে। চারটি ফিডারে ২০ হাজার গ্রাহকের চাহিদা পুরন করে আসছে। সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ৮ মেগাওয়াট। বন্যায় বিপিডিবির লাইনের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে প্রায় ৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। নালিতাবাড়ীর রাণীগাও এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে ১১ কেভি লাইনের ২০ খুটি পরে গিয়ে রাণীগাও-২ ফিডারটি বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প লাইনের মাধ্যমে লাইনটি সচল করা হয়। তাছাড়া রাণীগাও, দহরিয়া পাড়া এলাকায় কয়েকটি এলটি খুটি পরে গেছে। বন্যার পানিতে অনেক গ্রাহকের মিটার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল ১১ কেভি ফিডার চালু করা সম্ভব হলেও সকল গ্রাহকের আঙিনায় পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে প্রায় ৭২ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
অন্যদিকে শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (শেরপুরপবিস)উপজেলায় ৫৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। আর বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৬মেগাওয়াট। যদিও বর্তমানে ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। বন্যার কারণে উপজেলায় ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পানি কমা স্বাপেক্ষে বৈদ্যুতিক লাইন চালু করা হয়। বন্যায় ১২ টি পোল খুটি,৫০০ টি মিটার ও ২০টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নালিতাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জোনাল অফিসের এজিএম হাবিবুর রহমান বলেন,বন্যার সময় ২৪ ঘন্টা সকল বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকে। কিন্ত পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সকল লাইন সচল করা হয়। গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে বিদ্যুৎ সেবা চালু করে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
আবাসিক প্রকৌশলী সুশান্ত পাল বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লাইন বিকল্প লাইনের মাধ্যমে চালু করা হয়। প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্থ লাইন মেরামত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন,বন্যায় ক্ষতিগ্রন্থ লাইন পরিদর্শণ করতে নালিতাবাড়ীতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিতরণ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী মোঃ এমদাদুল হক, পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল, জামালপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রকৌঃ এ.বি.এম. ফারুক হোসেন, বাণিজ্যিক পরিচালন, ময়মনসিংহ এর অতিরিক্ত পরিচালক চন্দন কুমার দে, সহকারী প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, বিউবো, শেরপুর এর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌ সাহাবুদ্দিন আহমেদ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...