1. admin@somoyerahoban.com : admin :
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নালিতাবাড়ীতে কৃষকের ফাঁদ জেনারেটরের তারে জড়িয়ে বন্যহাতির মৃত্যু, আটক-১ নালিতাবাড়ীতে বিএনপি’র পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ইউএনও এবং এসিল্যান্ড এর অপসারনের দাবী জানিয়ে বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলণ নালিতাবাড়ীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান নালিতাবাড়ী পাহাড় থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার নালিতাবাড়ীতে বন্যায় ক্ষতি গ্রস্ত ২৬৫ পরিবারকে অর্থ সহায়তা করেছে কারিতাস নালিতাবাড়ীতে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেবক’ এর উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান নালিতাবাড়ীতে বন্যায় বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নালিতাবাড়ীতে বন্যার্তদের ত্রাণ দিলেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন নালিতাবাড়ীতে বন্যাদুর্গতদের মাঝে সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ ও মেডিক্যালক্যম্প।

নালিতাবাড়ীতে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে বন্যার্তরা

রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১২ বার

নালিতাবাড়ী(শেরপুর)প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যার কারণে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন্যার্তরা। এ ছাড়াও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ মেলেনি। কৃষকেরা সরকারের সহায়তার জন্য দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও কৃষকরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) রাত থেকে ভারী বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। এতে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বিভিন্ন অংশ ভেঙে ও বাধ উপচে ঢলের পানি উপজেলার কমবেশী সকল ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। এতে দিশেহারা মানুষ বন্যায় বাড়ী ঘর প্লাবিত হওয়ায় সড়কে,আশ্রয়কেন্দ্রে ও উচু স্থানে এনে রাখা হয়েছে গরুগুলোকে। কয়েকদিন হয়ে যাওয়ায় মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। গোখাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবারের সংগ্রহে থাকা গোখাদ্য বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গরু–ছাগল সঙ্গে রাখা বাড়তি ঝামেলা মনে করছেন তাঁরা। ফলে গৃহপালিত এসব প্রাণী কম দামে বিক্রি করে দিতে চাইছেন অনেকে।
সড়কের এক পাশে পলিথিনের চাদুয়া টানিয়ে আবার ব্রীজের উপর কয়েকশ গরু,ছাগল রেখেছেন। কয়েকজন কৃষক জানান বন্যার পানিতে ঘরবাড়ী ডুবে যাওয়ায় সবাই আশ্রয় নিয়েছেন সড়কের পাশে খুপরি তুলে। বানের স্রোতে বসতঘরে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়া পরিবার গুলো সড়কে আশ্রয় নিয়ে মানবের দিনযাপন করছেন। এ ছাড়া কোন কোন পরিবারের ঘরে থাকার মত পরিবেশ হলেও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে। পানিতে পচে গেছে সব গোখাদ্য। নিজেরা টেনেটুনে দিনে একবেলা খেতে পারলেও পশুগুলোর মুখে তুলে দিতে পারছেন না কিছুই। পথের দুই ধারে বিভিন্ন স্থানে গবাদিপশু বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। পাশের গ্রামগুলোতে এখনো বন্যার পানি আছে। তাই মানুষ যেমন ঘরে ফিরতে পারছেন না। নেই গবাদিপশু চরানোর জায়গাও।
কলসপাড় ইউনিয়নের ঘোগড়াকান্দী গ্রামে যাওয়ার পথে জাকির হোসেন ও আমজাদ আলী বলেন,বোবা প্রাণী গুলোর জন্য এখন যত চিন্তা। এখনো বাড়ির আঙিনায় পানি। খড় পচে গেছে। এখন এগুলোকে কী খাওয়াব জানি না। সরকার থেকেও কোনো সহায়তা পাইনি। একদিকে গোখাদ্যের সংকট, অন্যদিকে থাকার জন্য ঘর তুলতে হলে টাকার দরকার। সরকার যদি আমগওে সহায়তা না করে তাহলে গরু বিক্রি ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
উপজেলায় ছোট বড় খামারে মোট ৬৫ হাজার গবাদীপশু রয়েছে। এরমধ্যে ২৫৭ টি গবাদিপশু ও ২৬৪ টি হাস,মুরগীর খামার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো.ফয়েজুর রহমান বলেন,গত শনিবার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে খাদ্যের চাহিদা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। এরমধ্যে গবাদিপশুর জন্য ২৫০ মেট্রিকটন ও হাস,মুরগীর জন্য ১১৪ মেট্রিকটন। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে দেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...