1. admin@somoyerahoban.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন

নালিতাবাড়ীতে নকল সন্দেহে কীটনাশক জব্দ।

রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৩৪ বার

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নকল সন্দেহে দুই কার্টুন কীটনাশক জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)খৃষ্টফার হিমেল রিছিল। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি)সন্ধ্যার পর উপজেলার উত্তরবাজারস্থ মেসার্স জনি ট্রেড্রার্স প্রোপ্রাইটর মো,আবদুল লতিফ মানিকের সার ও কীটনাশক এর দোকান থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সিনজেনটা কোম্পানির থিউভিট ২২ প্যাকেট কীটনাশক নকল সন্দেহে জব্দ করেন।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে,উপজেলা কৃষি অফিসে অভিযোগ ছিল মেসার্স জনি ট্রেডার্স দীর্ঘদিন ধরে সিনজেনটা কোম্পানির থিউভিট নকল কীটনাশ বিক্রি করে আসছে,তার প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আনোয়ার হোসেন অভিযান চালিয়ে থিউভিট দেখে সন্দেহ হয়। পরে কৃষি কর্মকর্তা ইউএনও খৃষ্টফার হিমেল রিছিল কে জানানো হলে তিনি এসে নকল কীটনাশক সন্দেহে ২২ পেকেট থিউভিট জব্দ করা হয়।
জনি ট্রেডার্সের মালিক মো.আবদুল লতিফ মানিক বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ আমি রিটেইলার হিসেবে সিনজেনটার থিউভিট ডিলারের কাছ থেকেই এনে বিক্রি করে আসছি, এ মালগুলিও তার দোকান থেকেই আনা। এখানে নকল কীটনাশক হলে তার দায় ডিলারের। এতে আমার কোন দায় নেই।
ডিলার মেসার্স আল-আমিন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নূর মোহাম্মদ বলেন,ওই দোকানে অনেকদিন ধরে নকল থিয়োভিট বিক্রি করে আসছে। বিষয়টি আমরা কৃষি অফিসকে জানাই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দোকানে অভিযান হয়।
সিনজেনটা কোম্পানির প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম জানান,আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় বলে জব্দ করা কীটনাশক গুলো শতভাগ নকল। এতে কোন সন্দেহ নেই।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জনি ট্রেডার্সে অভিযান চালিয়ে ২২ প্যাকেট সিনজেনটা কোম্পানির থিউভিট নকল বলে জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক দৃষ্টিতে কীটনাশক গুলি নকল বলেই মনে হচ্ছে,তারপরও পরীক্ষার জন্য জব্দকৃত থিয়োভিট গুলো ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে,নকল প্রমানিত হলে দায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ অভিযানে স্থানীয় কৃষকরা আনন্দিত । বুধবার দুপুরে উপজেলার বেশ কিছু চাষীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে নালিতাবাড়ীতে ভেজাল সার-কীটনাশকের কথা বলে আসছিলেন। কিন্তু কোনো অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় ভেজাল ব্যবসা রমরমা চলছিল। চাষীরা এসব ভেজাল সার-কীটনাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিলেন। তারা এ অভিযান অব্যাহত রাখা ও ভেজাল সার ও কীটনাশক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...