1. admin@somoyerahoban.com : admin :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:১৫ অপরাহ্ন

নালিতাবাড়ীতে রাতের আধাঁরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলণ,প্রতিরাতে ম্যানেজ করতে দিতে হয় আড়াইলাখ, হুমকিতে স্থলবন্দর।

রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৩ বার

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর বালুমহালের নির্ধারিত সীমানার বাইরে গিয়ে রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকিতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন অফিস। এতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তাদের প্রতিরাতে মেশিন প্রতি ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। প্রতিরাতে ১০ থেকে ১৫ টা মেশিন চলে। অবৈধ বালু উত্তোলণের ব্যাপারে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে,জেলা বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেসার্স মর্তুজা এন্টার প্রাইজ প্রোপাইটর মো.হারুন অর রশিদকে ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় ১০ অক্টোবর থেকে ৬ মাসের জন্য ভোগাই নদীর কেরেঙ্গাপাড়া,ফুলপুর ও মন্ডলিয়াপাড়া ৩টি মৌজায় ৯.৮২ একর ভুমি ১৪৩০ সালের ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত ইজারা দেওয়া হয়।
ইজারার শর্ত অনুযায়ী ওই মৌজার বাহিরে বালু উত্তোলন করা যাবে না। কিন্ত প্রভাবশালী একটি মহল ওই মৌজার বাহিরে ভোগাই নদীর উঁজানে ভারত সীমান্ত এলাকা নাকুগাও স্থল বন্দর সংলগ্ন থেকে বালু উত্তোলণ করে আসছে। এতে বন্দরের কাষ্টম অফিস ও ইমিগ্রেশন অফিস সহ হুমকিতে পড়েছে। রাত ১০ টা থেকে ১১ টার পর নদীর পশ্চিম পাশে ৫ টি ও পূর্বপাশে ১২ মেশিন চলে। একদিকে বালু উত্তোলণ হয় আর ট্রাক ভরে বিক্রি করা হয়। সারারাত একটি মেশিনে ৬-৭ গাড়ী বালু উত্তোলণ করেন । গাড়ী প্রতি ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ভোর হলেই মেশিন সহ সকল সরঞ্জামাদী গুছিয়ে রেখে দেন। প্রতি রাতে মেশিন প্রতি ১৫ হাজার টাকা উপর মহলকে মিডিয়া সহ ম্যানেজ করার জন্য দিতে হয়। সে হিসেবে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মেশিন মালিকদের গুনতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বালু উত্তোলণ কারীকে প্রশ্ন করা হলে ম্যানেজ বাবদ ১৫ হাজার টাকা দিলে উত্তোলণ কারীর লাভ কী থাকে। তার উত্তর উত্তোলণ খরচ ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আর ম্যানেজে ১৫ হাজার এতে মোট খরচ হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এখানে বিক্রি হচ্ছে সর্ব নিন্ম ৯০ হাজার টাকা।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ইজারাদারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা জোটবদ্ধ হয়ে এসব কাজ করছেন। রাতে আমরা মেশিনের শব্দে ঘুমাতে পারি না। গভীর রাত থেকে সবগুলো মেশিন এক সাথে চালু করেন। এতে বিকট শব্দে এলাকাবাসী অতিষ্ট। এভাবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীতীরবর্তী পশ্চিম পাশে নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও পুর্বপাশে বসতবাড়ী হুমকির মুখে পড়েছে।
এ ব্যপারে ইজারাদার মো.হারুন অর রশিদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তনাদী রয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)ইলিশায় রিছিল বলেন,আমি কয়েকদিন হয় যোগদান করেছি। ব্যাপারটি আমি জানতাম না। এখন দ্রুত এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...