নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
‘সিনোডাল-ম-লীতে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রানী মা মারিয়া’– এই মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত বারমারী গারো পাহাড়ে রোম্যান ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী লাখো পুণ্যার্থীর আগমনে দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব শেষ হয়েছে। প্রতি বছর ২৬ ও ২৭ অক্টোবর এই তীর্থ উৎসব হয়েে থাকে।
আয়োজক কমিটি জানান,নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বারমারী সাধু লিও এর খ্রিস্টধর্মপল্লীতে বিগত ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরনে এই তীর্থ স্থানটি সাজানো হয়। দেশের রোম্যান ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের তীর্থযাত্রা উৎসবটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর ২৬ ও ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতি ও শুক্রবার খ্রিস্টভক্তরা এখানে সমবেত হয়ে ভিন্নভিন্ন মূলসুরের উপর বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালন করেন। এ বছর ‘সিনোডাল-ম-লীতে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রানী মা মারিয়া’–জাকজমকপুর্ণভাবে ২৫তম বার্ষিক তীর্থউৎসব পালিত হয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উপাসনা করার জন্য এখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ ফুট উচু দেশের সব চেয়ে বড় মা মারিয়ার মুর্তি। ধর্মীয় চেতনায় দেশি-বিদেশি হাজার হাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসবে অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ০৮ টায় মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোক শোভাযাত্রা হয়। পরে পাপস্বীকার, মহাখ্রিস্টযাগ, সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময়, নিশিজাগরণ ও শুক্রবার সকালে জীবন্তক্রুশের গীতি আলেখ্যনুষ্ঠান ।
তীর্থ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা ধর্ম প্রদেশের ফাদার টমাস মানকিন। অতিথি হিসেবে ময়মনসিংহ-১(হালুয়াঘাট-ধুবাউড়া) আসনের সাংসদ জুয়েল আরেং প্রমুখ।
রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারি জানান, এবারের তীর্থ উৎসব সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সকল ধর্মীয় আচার শৃংখলা ভাবে নিয়ম নীতির মাধ্যমে হয়েছে। আমরা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের সার্বিক সহযোগিতা ছিলো বলেই আমরা এতোবড় একটি অনুষ্ঠান করতে পেরেছি।
Leave a Reply